আলোর মনি রিপোর্ট: লালমনিরহাট জেলার আদিতমারী উপজেলার ভাদাই ইউনিয়নের বড়াবাড়ী গ্রামের অনন্ত চন্দ্র বর্মনের স্ত্রীর সাথে পরকীয়ায় লিপ্ত হয় দুষ্টু প্রকৃতির মানিক চন্দ্র বর্মন। ঘটনাটি হাতে নাতে ধরা পড়লে মানিকের চাচাতো ভাই সম্মান রক্ষার্থে তার বাবা-মায়ের সাথে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করে তার কর্মস্থল ঢাকায় স্ত্রীকে সন্তানসহ নিয়ে যান। প্রবাদে আছে দড়ি ছেড়া গরু দড়ি ছিড়বেই। ঢাকায় গিয়ে ওই স্ত্রী তার নয়া প্রতিবেশী এক ভাবির মোবাইল ফোন নিয়ে তার বাবার সাথে কথা না বলে পরকীয়ায় লিপ্ত লম্পট ভাসুর মানিকের সাথে কথা বলেন। কিন্তু বিধি বাম ওই ফোন রেকর্ডটি চলে আসে গার্মেন্টস শ্রমিক স্বামী অনন্ত চন্দ্র বর্মনের হাতে। পরে অনন্ত ওই স্ত্রীকে নিয়ে তার নিজ গ্রামের বাড়ীতে চলে আসেন। পরে এ বিষয়ে পারিবারিক ভাবে সমাধানের চেষ্টা করে ব্যর্থ হওয়ায় নিরিহ প্রকৃতির স্বামী অনন্ত চন্দ্র বর্মন বাদী হয়ে আদিতমারী থানায় মানিকসহ ৫জনের বিরুদ্ধে এ সংক্রান্ত একটি লিখিত অভিযোগ করেন গত ২২ মার্চ, ২০২১ইং তারিখে ।
লালমনিরহাট পুলিশ সুপার ও আদিতমারী থানার অফিসার ইনচার্জ প্রসিকিউশনের জন্য আদালতে পাঠানোর কথা সাংবাদিকদের বলেন।
এরই মধ্যে ওই অভিযুক্ত মানিক ভাদাই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রোকনের সহযোগি হওয়ায় অভিযোগ করার পরদিন থেকে ওই অভিযোগটি প্রত্যাহার করার জন্য হুমকি ধামকি ও আক্রমন করে আসছে।
অপরদিকে ওই কুচক্রি মানিক তার কথিত প্রেমিকা (ছদ্মনাম রিংকি) কে নিয়ে লালমনিরহাট শহরে আসেন এবং ঘোরাঘোরি করেন। এদিকে অভিযোগকারী অনন্ত পরিবার নিরাপত্তা হীনতায় ভুগছেন। যে কোন মুহুর্তে মানিকগং তাদের ওপর হামলা ও মিথ্যে মামলা করতে পারে।
এ ঘটনায় ওই এলাকার একাধিক সচেতন ব্যক্তির সাথে কথা বলে জানা গেছে, মানিক টাকাওয়ালা ও চেয়ারম্যানের লোক হওয়ায় পুলিশের সাথে সখ্যতা গড়ে তুলছেন। তাই অনন্ত পরিবার পুলিশের নিকট যথা সময়ে আইনানুগ সহযোগিতা পাবে কিনা তা নিয়ে দেখা দিয়ে জনমনে নানান প্রশ্ন।